দখিনের খবর ডেস্ক ॥ হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। রোববার হেফাজতের ডাকা হরতালে বিএনপির সমর্থন আছে কিনা জানতে চাইলে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরাসরি জবাব না দিয়ে বলেন, আমরা হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মসূচি দিয়েছি। শনিবার (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, হেফাজতের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পুলিশ গুলি চালিয়ে চট্টগ্রামে চারজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজনকে হত্যা করার প্রতিবাদে সোমবার (২৯ মার্চ) ঢাকাসহ সব মহানগরে ও মঙ্গলবার সারাদেশের জেলা শহরগুলোতে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করছি। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা ও আটকের প্রতিবাদে বিএনপির অংগ সংগঠনসমূহ শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ করেছে এবং রোববার বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। মির্জা ফখরুল বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজের পরে একটি সংগঠনের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বিক্ষোভে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলায় দুই শতাধিক মানুষ আহত হন। এর প্রতিবাদে যখন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছিল তখন পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হয়েছেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন নিহত ও অসংখ্য আহত হয়েছেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা জাতীয় জীবনে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ গতকাল রাতেই জানিয়েছি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিছিল-সমাবেশ করা সবার সাংবিধানিক অধিকার। সরকার এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ আবারও ঘটালো। দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে হত্যা, খুন, গুম ও নির্যাতনের মাধ্যমে বিরোধীদল ও ভিন্নমতকে দমন করার এই যে প্রচেষ্টা সবসময় তারা চালিয়ে আসছে শুক্রবারের ঘটনা তারই একটা চিত্র। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা আগেই জানিয়েছি। ইতোমধ্যে আমাদের অঙ্গ সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে দলের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের সমাবেশ থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। হেফাজতের হরতালে সমর্থন আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা প্রতিবাদ করছি স্বাধীনতা দিবসের দিনে মানুষকে হত্যা করার জন্য। প্রত্যেক সংগঠন ও নাগরিকের সভা-সমাবেশ করার, মত প্রকাশ করার অধিকার আছে। সেই মত প্রকাশের বিরুদ্ধে গুলি করা হয়েছে। আমরা সেটার প্রতিবাদ করছি।
Leave a Reply